পাওনা টাকা দিতে দেরি হওয়ায় যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা

কুমিল্লার সদর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর এলাকায় পাওনা টাকা দিতে দেরি হওয়ায় যুবককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি (তদন্ত) তপন কুমার বাগচী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বুধবার (২৪ মে) রাতে আদর্শ সদর উপজেলার টিক্কারচর ব্রিজের দক্ষিণে একটি চা দোকানে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তি উপজেলার নিশ্চিন্তপুর এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে কুদ্দুস মিয়া (৩৫)। তিনি পেশায় সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক ছিলেন।

নিহতের বাবা আব্দুস সালাম দাবি করেন, তিন ছেলের মধ্যে কুদ্দুস মেজো। সে দক্ষিণ চর্থা এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে ছিল। বুধবার সন্ধ্যার দিকে তাকে শুভপুরের সোহাগ নামের এক ছেলে চা দোকানে ডেকে নেয়। সেখানে গিয়ে সোহাগ ও সাগর নামের আরেকজনের সঙ্গে চা খাচ্ছিল আমার ছেলে। সোহাগ তার কাছে টাকা চায়। এ সময় কুদ্দুস তাকে ২০০ টাকা দিয়ে বলে, জেলে থেকে আসছস ঠিকঠাক চলিস, টাকাটা রাখ। এখন এটা দিয়ে চল। টাকাটা হাতে নিয়েই সোহাগ আমার ছেলেকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। সাগরকেও ছুরিকাঘাত করে। তার শরীরে ভালোভাবে লাগেনি। সে এখন হাসপাতালে। ধারণা করছি, টাকা কম দেওয়ায় মেরেছে।

নিহতের ছোট ভাই সাগর জানন, নগরীর শুভপুর এলাকার সোহাগ কুদ্দুস ভাইয়ের কাছে ১০ হাজার টাকা পেতেন। বুধবার বিকেলে টাকার জন্য ফোন দেন সোহাগ। বুধবার সন্ধ্যায় টিক্কারচর ব্রিজ এলাকায় আমি ও ভাই তার সঙ্গে দেখা করতে যাই। একপর্যায়ে তাকে ২০০ টাকা দিই ও বাকি টাকা শনিবার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিই। এ সময় সোহাগসহ আমরা চা পান করি। একপর্যায়ে আলী হোসেনের ছেলে মামুনের উসকানিতে সোহাগ ছুরিকাঘাত করলে কুদ্দুস ভাই গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে বুধবার রাত ১০টায় চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি (তদন্ত) তপন কুমার বাগচী জানান, বুধবার রাতে সংবাদ পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

Leave a Comment

* বাংলানিউজটোয়েন্টিফোরসেভেন.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।