তালতলীতে বেড়িবাঁধে ফাটল, আতঙ্কে এলাকাবাসী

বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন পায়রা নদীর মোহনা বরগুনার তালতলী উপজেলার উপকূলীয় অঞ্চল নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের জয়ালভাঙ্গার বিস্তৃত এলাকাজুড়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। 

বঙ্গোপসাগরে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২-৩ ফুট পানি বৃদ্ধি পেলেই বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আঘাত হানতে পারে উপকূলে। ফলে সাগরে জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা রয়েছে বিধায় ওই এলাকার প্রায় ২০ গ্রামের মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।

জানা গেছে, তালতলী উপজেলা শহরের এক বিশাল এলাকা রয়েছে ওই ইউনিয়নের মধ্যে; যা নদীভাঙন কবলিত এলাকা। ২০০৭ সালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় সিডরে ওই এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ (ওয়াপদা) ভেঙে পানি ভিতরে প্রবেশ করে। ওই ঘটনায় সাবেক তালতলী-আমতলী উপজেলায় ২২১ জন প্রাণ হারান।

স্থানীয়রা জানান, এই এলাকার বেশিরভাগ মানুষ জেলে পেশায় নিয়োজিত। মৎস্য বন্দর পার্শ্ববর্তী উপজেলা পাথরঘাটার সঙ্গে একমাত্র যোগাযোগে একটি ছোট লঞ্চ। এলাকাটি দিন দিন নতুনভাবে ভাঙনের কারণে নেই কোনো নির্ধারিত লঞ্চঘাট, টার্মিনাল ও যাত্রী ছাউনি।

এলাকার লোকজন বহুবার স্বেচ্ছাশ্রমে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করলেও তা পরবর্তীতে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে এলাকাবাসী ভাঙন রোধে প্রয়োজনে সরকারি পদক্ষেপ এবং টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান।

শুক্রবার ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত দেওয়ার খবরে তাদের চোখে ঘুম নেই বলেও জানান এলাকাবাসী।

নিশানবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বাচ্চু বলেন, উপজেলার নদীকবলিত এলাকা এ ইউনিয়নের মাত্র ৩ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ ১৫ বছরেও পুন:নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। আমি এ ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান। জয়ালভাঙ্গা এলাকার বেড়িবাঁধ পুন:নির্মাণে আমার আপ্রাণ চেষ্টা থাকবে।

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির উপজেলা টিম লিডার আলতাফ হোসেন হাওলাদার জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখা যেভাবে শক্তিশালী হচ্ছে, তা যদি এই এলাকা দিয়ে যায় তাহলে উপজেলার নদীকবলিত এলাকা তছনছ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

Leave a Comment

* বাংলানিউজটোয়েন্টিফোরসেভেন.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।