এ এইচ অনিক ।। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোরসেভেন.কম
বরিশালঃ পান আমাদের দেশেরএকটি গুরুত্বপূর্ণ ফসল। একসময় পান শুধুমাত্র বাংলার গ্রাম গঞ্জের পরিবারগুলোর ময় মুরুব্বিদের খাবারের তালিকার প্রথমস্থানে থাকলেও এখন বিশ্বের এমন কোনো দেশ নেই যে কমবেশী পান খায়না। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, নেপাল,ভুটান,মায়ানমার, চীন সহ বিশ্বের সবদেশের মানুষ এখন বাংলাদেশের পান খেতে পছন্দ করেন।
আমাদর দেশের কয়েকটি জেলায় পানের চাষ হলেও বরিশাল জেলার উজিরপুর আগৈল ঝাড়া গৌরনদী কালকিনি মাদারীপুর সহ এসব এলাকার পান সবার পছন্দের তালিকায়। তাইতো কদিন আগেও প্রতি পোন (বিরা) বাজারে বিক্রি হতো দুই থেকে তিন শো টাকায়। আর এখন পানের অনেক ভালো ফলন হলেও ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেনা তারা এমনটাই জানালেন আগৈল ঝাড়া উপজেলার জলিরপাড় কোদালধোয়া গ্রামের পান চাষি লুৎফার রহমার খান, বিরেন বালা ও নিত্তনন্দ দাস, বিকাস মিত্্ অখিল ওঝা, স্বপন ও তিতুমির সহ কয়েকজন পান চাষি।
![](https://banglanews247.com/wp-content/uploads/2022/04/IMG_20190718_101022_569-2-min-1-840x443.jpg)
তারা আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, এখন তাদের পানের ভালো ফলোন হচ্ছে। কিন্তু এতো সুন্দর পান বাজারে বিক্রি করতে গেলে যে টাকা পায় তাতে কৃষানের খরোজ হয়না। নিত্তনন্দ দাস বলেন, সেই ভোর রাতে থেকে বৌ বাচ্চা সহ সবাই কে নিয়ে পানের বরোজ থেকে পান তুলেছি। এখন সবাই মিলে গুছিয়ে বিরা তৈরি করচ্ছি। এর পরে টর্কি বন্দোর, রামনগর, পয়শার হাট সহ এলাকার কয়েকটি হাটে গিয়ে বিক্রি করবো এসব পান। তিনি আরো বলেন অন্য সময় বরে পান কম থাকে। বাজারেও পানের দাম বেশি থাকে জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়, শ্রাবণ ও ভাদ্র এ কয়েক মাস বর্ষার কারনে পানের ভালো ফলন হয়, আর তখন দামও কমে যায়। তার পরেও আমরা প্রতি বিঘা জমি থেকে বছরে সব খরোজ সহ, দশ থেকে বারো লক্ষ টাকার পান বিক্রি করে থাকি। আর আমাদের সিজনের সময় ১৫ দিন পরপর প্রতি বিঘা জমি থেকে পান তুুুলে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করে থাকি। তারপরে ও আমাদের ধার দেনা করতে হয়। তাই সরকারের কাছে আমাদের দাবি , অতি গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানিমুখী এই ফসল পান ও চাষিদের জন্য বাংলাদেশ সরকারের কৃষি বিভাগ একটু আলাদা দৃষ্টি রাখবেন।