অর্থনীতির জগতে পরিবর্তনের হাওয়া

গত সপ্তাহে বাংলাদেশের রাজনৈতিক আবহাওয়া হঠাৎ করে খুব গুমোট হয়ে গিয়েছিল।

প্রাকৃতিক ঝড় মোখার ছোবল থেকে অনেকটাই আঁচড়মুক্ত থাকলেও মনে হচ্ছে আন্তর্জাতিক রাজনীতির ঝড়ের কবলে পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

এটা এক ধরনের অনুমান। এ অনুমানের ভিত্তি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে বিবিসির ইয়ালদা হাকিমের কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া সাক্ষাৎকার।

সম্প্রতি বিদেশ সফর থেকে দেশে প্রত্যাবর্তনের পর এই সফরের ওপর প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, যে দেশ নিষেধাজ্ঞা দেবে, তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশ কোনো কিছু কিনবে না।

কোনো রাষ্ট্রদূতই আর পুলিশের এসকর্ট বা বাড়তি নিরাপত্তা সুবিধা পাবেন না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। এখন থেকে এ সেবা পেতে অর্থ পরিশোধ করতে হবে বলেও জানান তিনি। গত সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সরকারি খরচে জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বিদেশি কোনো রাষ্ট্রদূতকে বাড়তি নিরাপত্তা সেবা দেওয়া হবে না।

এসব উক্তি বা সিদ্ধান্তের মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে জাত্যাভিমান রয়েছে। তবে বিনা পয়সায় কোনো মধ্যাহ্নভোজ হয় না। ঠিক তেমনি জাত্যাভিমানী অবস্থানকে ধরে রাখতে হলে একটা মূল্য তো দিতে হবে। তার পরিমাণ কত তা হয়তো এ মুহূর্তে বলার সময় আসেনি। যদিও কিছু বলা যায়, তা এই মুহূর্তে বলারও একটি মূল্য বা প্রাইস আছে। সুতরাং এ নিয়ে আলোচনায় থাকতে চাই না। তবে এটুকু বলা যায়, এগুলোর তাৎক্ষণিক ও দীর্ঘমেয়াদি পরিণতি আছে। পরিণতি বেশ জটিল এ কারণে যে, এসব ঘটনার পেছনে বড় শক্তিগুলোর দ্বন্দ্ব জড়িয়ে আছে। একইসঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থ। এসব প্রশ্নে আলাপ-আলোচনা ও বিতর্কের প্রকৃষ্ট স্থান হলো জাতীয় সংসদ। কিন্তু এ মুহূর্তে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের যে অবয়ব, তাতে ফলপ্রসূ আলোচনারও সুযোগ দেখি না। প্রিন্ট মিডিয়ায় এ নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত। কিন্তু সেই প্রয়াস কতটা সাফল্য বয়ে আনবে তা নিয়েও দুর্ভাবনা আছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

Leave a Comment

* বাংলানিউজটোয়েন্টিফোরসেভেন.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।