ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১৮৯

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে আক্রান্ত হয়ে ১৮৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ১৩৬ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৩ জন। রোববার (১১ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৬০৩ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে…

আরো পড়ুন

গরমে বাড়ছে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগ

প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ, অতিরিক্ত গরম আর কয়েকদিন ধরে ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে (লোডশেডিং) দেশজুড়ে মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা তৈরি হয়েছে। এদিকে প্রচণ্ড গরমের কারণে দেখা দিয়েছে ডায়রিয়া-আমাশয়-জন্ডিসের মতো পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব। বিশেষ করে শ্রমজীবী, শিশু ও বয়স্করা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসছেন। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশসহ (আইসিডিডিআর,বি) একাধিক হাসপাতালে এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলোর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব বাড়লেও তারা এটাকে স্বাভাবিকভাবে দেখছেন। ডায়রিয়া থেকে বাঁচতে ব্যাপক জনসচেতনতা প্রয়োজন। আইসিডিডিআর,বি হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা বলেন, সাধারণত মার্চ থেকে গরম শুরু হওয়ায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ে। এ সময় রোগটির চিকিৎসায় বিশেষায়িত এ হাসপাতালটিতে রোগীর…

আরো পড়ুন

দেশের ২৯ ভাগ মানুষ ফ্যাটি লিভারে ভুগছে

ফ্যাটি লিভার একটি নীরব ঘাতক। এর একটা বড় অংশ ন্যাশ ও এর জটিলতা যেমন: লিভার সিরোসিস বা লিভার ক্যানসারের সম্মুখীন হওয়া। বর্তমানে দেশের ২৯ ভাগ মানুষ ফ্যাটি লিভার সমস্যায় ভুগছেন। রোগটি সম্পর্কে এখনই জনসচেতনতা তৈরি না হলে ভবিষ্যতে এটি মোকাবিলা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বৃহস্পতিবার ‘বিশ্ব ন্যাশ দিবস-২০২৩’ উপলক্ষ্যে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী মিলনায়তনে আয়োজিত বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে বিশেষজ্ঞরা এ কথা বলেন। সেমিনারের আয়োজন করে ‘বাংলাদেশ গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি সোসাইটি’। ন্যাশ হচ্ছে নন অ্যালকোহলিক স্টিয়াটো হেপাটাইটিসের সংক্ষিপ্ত রূপ। এটি যকৃৎ বা লিভারের একটি প্রদাহ। ফ্যাটি লিভারের সঙ্গে ন্যাশের…

আরো পড়ুন

গরমে সুস্থ থাকতে কালোজাম খান

কালোজাম ডায়াবেটিস, হার্টডিজিজ, গ্যাস্ট্রিক, বদ হজমের সমস্যা, রক্তশূন্যতা এমনকি শরীরের ইলেক্ট্রোলাইট ব্যালেন্স করে। কালোজাম রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে ক্যানসারের বিরুদ্ধেও কার্যকর ভূমিকা রাখে। গরমে সুস্থ থাকতে চাইলে কালোজাম খেলে আমরা কী কী উপকার পেতে পারি। * রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় কালোজামে রয়েছে উচ্চমাত্রায় ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফলে শরীরে ইমিউনিটি বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে এ গরমে সিজনাল যে জ্বর, সর্দি, কাশি অনেকাংশে কমে যাবে। * হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম, যা আমাদের হার্টকে ভালো রাখতে সাহায্য করে কালোজাম উচ্চরক্তচাপ কমিয়ে কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ থেকে হার্টকে সুস্থ রাখে। * গ্যাস্ট্রোইন্টেন্সটাইল সুস্থতায়…

আরো পড়ুন

খালি পেটে যে খাবারে সুস্থ থাকবে শরীর

দৈনন্দিন জীবনে আমরা সবাই কমবেশি ব্যস্ত, সারাদিন ছুটে চলেছি। ফলে ঠিক সময়ে খাওয়ার কথা আমাদের মনে থাকে না। খিদে পেলে যা খুশি তাই খেয়ে নিই। আর সেখান থেকেই নানাবিধ সমস্যা দেখা যায়। রাতের খাবার থেক সকালের খাবারের মধ্যে দীর্ঘ একটা সময়ের বিরতি থাকে। আর এই সময়ে ঠিকঠাক খাবার খাওয়া খুব জরুরি। কারণ খালি পেটে সঠিক খাবারই আমাদের সারাদিনের হজম ক্রিয়া ঠিক রাখে। বলা যায় শরীর সুস্থ রাখার এটাই হল চাবিকাঠি। দেখে নিন, সকালে উঠে কোন খাবার দিয়ে দিনের শুরু করবেন। জেনে নিন- স্ট্রবেরি-কলা স্মুদি– সারাদিনের কাজের জন্য সকালে সুস্বাদু এবং…

আরো পড়ুন

কিশোরী বয়সে গর্ভধারণ কেন ঝুঁকিপূর্ণ?

টিনেজ প্রেগন্যান্সি হলো ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সি কিশোরী যখন গর্ভবতী হয়। WHO-এর হিসাব মতে, বিশ্বব্যাপী ১ মিলিয়ন কিশোরী যাদের বয়স ১৫ বছরের নিচে তারা প্রতি বছর বাচ্চা প্রসব করে। UNICEF-এর মতে, তৃতীয় বিশ্বের দেশে প্রতি ৫ জন শিশুর মধ্যে ১ জন জন্ম নেয় কিশোরী মাতার গর্ভে। এ বয়সি কিশোরী শারীরিক ও মানসিকভাবে মাতৃত্বের দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত নয়। যখন একজন কিশোরী মা হয় তখন এর প্রভাব পড়ে শরীর, আবেগ, সামাজিক জীবনের ওপর। এর জটিলতা হিসাবে মায়ের উচ্চ রক্তচাপ, সময়ের আগে জন্ম নেওয়া শিশু, অল্প ওজনের শিশু, যৌনরোগ দেখা দিতে পারে।…

আরো পড়ুন

নারীরা হাড়ের ভঙ্গুরতা রোধে কী করবেন

মহিলারা কেবল কারো মা কিংবা স্ত্রী নন, বর্তমানে এ পরিচয়ের বাইরেও তারা অনেক কাজের সাথে জড়িত। অনেক ক্ষেত্র পুরুষদের চেয়েও বেশি কাজ করতে হয় তাদের। সময়মতো অফিসে যাওয়া, আবার বাড়িতে ফিরে গৃহস্থালি কাজকর্মে নিয়োজিত থাকা- বিরাট শারীরিক ও মানসিক ধকল। এর সবই করতে হয় তাদের, আর এ জন্য প্রয়োজন প্রচুর শারীরিক ও মানসিক শক্তি। মহিলাদের একটা বিশেষ ঝুঁকি থাকে অস্টিওপরোসিস বা হাড়ের ভঙ্গুরতা রোগে আক্রান্ত হওয়া। অস্টিওপরোসিসে ভুগলে সব কাজই থেমে যায়। তাই সব মহিলারই উচিত সময়মতো এ সমস্যাকে প্রতিরোধ করা। অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধ করতে পারলে হাড়ের ঘনত্ব বাড়বে, চলমান জীবনও…

আরো পড়ুন

দীর্ঘস্থায়ী মাথাব্যথা হয় যে কারণে

মাথায় ব্যথা হলে স্বাভাবিকভাবেই খুব অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। তখন কোন কাজেই যেন মনোযোগ পাওয়া যায় না। কিছু কিছু মাথাব্যথার ক্ষেত্রে বিশ্রাম নিলেই কমে যায় তবে কিছু ক্ষেত্রে মাথায় ব্যথা এতটাই বেশি হয় যে ব্যথার তীব্রতা খুব গুরুতর হয়ে ওঠে। এর অনেক কারণ থাকতে পারে। অনলি মাই হেলথ নামে একটি ইংলিশ পোর্টালে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, মাথাব্যথার কারণে যে সমস্যাগুলো হয় তা মাথায় বা মুখে স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে, যাকে সাধারণত নিস্তেজ-ব্যথা বলা যায়। মাথাব্যথা নানাভাবে হতে পারে। এ সমস্যাকে হালকাভাবে নেওয়া একদমই উচিত না। মাথার ব্যথা কোথায়, কোন সময়ে হচ্ছে- সব…

আরো পড়ুন

বাজেটে গুরুত্ব কমেছে স্বাস্থ্য খাতের

প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্য খাতের গুরুত্ব কমেছে। মোট বরাদ্দের মাত্র ৫ শতাংশ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য খাতে। কিন্তু চলতি অর্থবছরে এই বরাদ্দ ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ। সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) অনুপাতে ১ শতাংশেরও কম। কিন্তু উন্নত দেশগুলোতে এমনকি প্রতিবেশী দেশেও এ খাতে জিডিপির ৫ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের স্বাস্থ্য খাতের অবস্থা অত্যন্ত দুর্বল। দুই বছর আগে করোনাকালে সেটি স্পস্ট হয়েছে। তারা বলছেন, এবার নামকাওয়াস্তে কয়েকটি ওষুধের কাঁচামাল আমদানিতে কর মওকুফের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও ওষুধের দামের বিষয় উপেক্ষিত হয়েছে। তাদের…

আরো পড়ুন

জীবনধারা পরিবর্তনে কমতে পারে হৃদরোগে মৃত্যুর হার

বিংশ শতাব্দীর ৭০ ও ৮০-র দশকে বাংলাদেশে অধিকাংশ মৃত্যুর কারণ ছিল সংক্রামক রোগ; এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ডায়রিয়ায়। সচেতনতা বৃদ্ধি, চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতি, অর্থনৈতিক অগ্রগতি ইত্যাদির ফলে সংক্রামক রোগে মৃত্যু ধীরে ধীরে কমতে থাকে। অন্যদিকে বাড়তে থাকে অসংক্রামক রোগে মৃত্যু।  ১৯৮৬ সালে যেখানে অসংক্রামক রোগে মৃত্যু ছিল ৮%; ২০১৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫৯% এবং ২০১৬ সালে ৬৭%; এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে হৃদরোগে, প্রায় ১৫%। মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ ছিল ক্যান্সার। অন্যান্য কারণের মধ্যে ধূমপান, ডায়াবেটিস, স্ট্রোক, ফুসফুসের ক্রনিক রোগ অন্যতম। এর কারণ কী? গভীরভাবে বিশ্লেষণ…

আরো পড়ুন