‘রুশরা কয়েক ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র সংকটে ভুগছে’

রুশ বাহিনী বড় পর্যায়ের আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ নিতে সক্ষমতা হারিয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা বিভাগ।  

সোমবার ইউক্রেনের একটি সম্প্রচারমাধ্যমকে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা বিভাগের মুখপাত্র আন্দ্রি ইউসভ বলেন, ইউক্রেনের দিকে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অবস্থান বদলেছে। শীতে তারা আমাদের জ্বালানি ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোয় তীব্র হামলা চালিয়েছিল। এরপর থেকে তাদের সক্ষমতা কমেছে। বড় ধরনের আক্রমণ চালানোর রসদ নেই রাশিয়ার।

যুদ্ধের শুরুর দিকে কিয়েভ, খারকিভ, বোচা, মারিউপোলে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে রুশ বাহিনী। ধ্বংস হয়ে যায় বহু আবাসিক ভবন। এসব হামলায় ‘কালিবার’ ক্ষেপণাস্ত্রের নামটি সবচেয়ে বেশি এসেছে আন্তর্জাতিক মাধ্যমে। সরবরাহ এবং উৎপাদনের সক্ষমতা কমে আসায় রুশরা কয়েক ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র সংকটে ভুগছে। এর মধ্যে কালিবারের ঘাটতি সবচেয়ে বেশি বলে মনে করেন ইউক্রেনের এই মুখপাত্র।

ইউক্রেনের এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শীতকালের পর রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলার লক্ষ্যবস্তু পরিবর্তন করেছে। এছাড়া তাদের ক্ষেপণাস্ত্রের হামলার মাত্রাও কমে এসেছে। শীতে ইউক্রেনের বিদ্যুৎসহ অন্যান্য জ্বালানি অবকাঠামোয় নিয়মিত আঘাত হানত রুশ ক্ষেপণাস্ত্র।

তিনি বলেন, ‘রাশিয়া ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য তৎপর রয়েছে এবং তারা শুধুমাত্র ইরানের অ্যাটাক ড্রোন শহীদই পরিবর্তন করেনি, তারা পুরো বিশ্বে অস্ত্র খুঁজছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা এক্ষেত্রে সফলতা পায়নি।’

রাশিয়ার স্থল হামলা চালানো ক্ষমতা কমলেও এখনো তাদের ক্ষেপণাস্ত্রের ভান্ডার ফুরিয়ে যায়নি। ইউক্রেনীয় গোয়েন্দা আন্দ্রি ইউসোভ জানিয়েছেন, হামলার তীব্রতা বাড়ানোর জন্য রুশ বাহিনীর কাছে পর্যাপ্ত এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র আছে। এগুলো বিমান থেকে ছোঁড়ার জন্য তৈরি করা হলেও, রুশ বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্রগুলো মিসাইল লঞ্চার ব্যবহার করে ছুঁড়ে থাকে। যেগুলো আঘাত হানা স্থানে বড় ক্ষতি সাধন করতে পারে।

সম্পর্কিত পোস্ট

Leave a Comment

* বাংলানিউজটোয়েন্টিফোরসেভেন.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।