বাংলাদেশে খাদ্যের দাম বেড়েছে ৩৩ শতাংশ

বাংলাদেশে গত এক বছরের ব্যবধানে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে গড়ে ৩৩ শতাংশ। এতে বেড়েছে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার। গত ফেব্রুয়ারিতে এ হার ছিল ৮ শতাংশের বেশি। খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ায় দরিদ্র ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে। একই সঙ্গে খাদ্য খাতে তাদের ব্যয় বেড়ে গেছে।

বুধবার রাতে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে এ বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এক বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে গড়ে ৩৩ শতাংশ। একই সময়ে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়িয়ছে ৯ দশমিক ১ শতাংশ।

মার্কিন সরকারের বৈদেশিক সাহায্যদাতা সংস্থা ইউএসএআইডির অর্থায়নে পরিচালিত এক জরিপ প্রতিবেদনের উল্লেখ করে এতে বলা হয়, খাদ্যের চড়া দাম প্রায় সব নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের ক্ষেত্রেই ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দরিদ্র ভোক্তাদের খাদ্য কেনার সক্ষমতা কমে গেছে। একই সঙ্গে এ খাতে তাদের ব্যয়ের পরিমাণও বেড়ে গেছে।

প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, গত বছরের আগস্টে বাংলাদেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৯ শতাংশে উঠেছিল। এরপর থেকে তা কমতে থাকে। গত জানুয়ারি পর্যন্ত কমেছে। ফেব্রুয়ারি ও মার্চে আবার বেড়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি সামান্য কমে ৮ দশমিক ১ শতাংশে নেমেছিল। গত জানুয়ারি পর্যন্ত তা কমে ৭ দশমিক ৮ শতাংশে নেমে যায়। গত ফেব্রুয়ারি থেকে এ হার আবার বাড়তে শুরু করেছে। ফেব্রুয়ারিতে তা বেড়ে হয় ৮ দশমিক ১ শতাংশ। মার্চে তা আরও বেড়ে ৯ দশমিক ১ শতাংশ হয়েছে। তবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে গত এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার কমে ৮ দশমিক ৪ শতাংশ হয়েছে।

এ নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করেছেন রোজা ও ঈদের কারণে গত এপ্রিলে পণ্যমূল্য বেড়েছে। তার পরও খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতির হার কিভাবে কমল।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতে খাদ্যমূল্যস্ফীতির হার কমতে শুরু করেছে। মার্চে এ হার ছিল ৫ দশমিক ১ শতাংশ। নেপালেও কমে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হয়েছে। এ ছাড়া পাকিস্তানে ৪৭ দশমিক ২ শতাংশ।

শ্রীলংকাতে খাদ্যপণ্যের দাম কমতে শুরু করায় এ খাতে মূল্যস্ফীতির হারও কমছে। গত মার্চে সে দেশে এ খাতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৪২ দশমিক ৩ শতাংশ। মার্চে তা কমে ৩০ দশমিক ৬ শতাংশে নেমেছে। মালদ্বীপে বেড়ে ৮ শতাংশ হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

Leave a Comment

* বাংলানিউজটোয়েন্টিফোরসেভেন.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।