প্রথমবারের মতো পর্দা উঠল সামিট ও এক্সপোর

দেশে প্রথমবারের মতো পর্দা উঠল জেসিআই বাংলাদেশ আয়োজিত স্মার্ট বাংলাদেশ সামিট ও এক্সপোর। শুক্রবার সকালে রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে দুই দিনব্যাপী এই আয়োজনের উদ্বোধন করা হয়। শনিবার চলবে ‘জেসিআই স্মার্ট বাংলাদেশ সামিট, এক্সপো ও সিওয়াইই অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ আয়োজন।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সকালে নিবন্ধনের মাধ্যমে শুরু হয় দর্শনার্থীদের প্রবেশ। এরপর উদ্বোধন করা হয় সামিট ও এক্সপোর। স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি পিলার বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এটুআই প্রকল্পের পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী।

সালমান এফ রহমান বলেন, প্রযুক্তি খুবই দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এটার সঙ্গে খাপ খাওয়ানোটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। যেমন এখন বিশ্বে একটি বড় চ্যালেঞ্জ আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স। টেকনোলজির আরেকটি বড় ধরনের অগ্রগতি হবে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং। যেটা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন কাজ করছে। এখন বাংলাদেশ সামনের দিনের প্রযুক্তি নিয়ে কী, কীভাবে কাজ করতে পারে, সেটা নিয়ে সরকার একটি নীতিমালা করে দিতে পারে। বেসরকারি বিভিন্ন খাতকে এসব নিয়ে কাজ করতে সুযোগ করে দিতে পারে। সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা জেসিআইয়ের তরুণদের একেবারে ইউনিয়ন পর্যায় থেকে উদ্যোক্তা হিসাবে তুলে আনার আয়োজন করার আহ্বান জানান তিনি।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন ঘোষণা করার পর স্মার্ট বাংলাদেশ নিয়ে প্রথম সামিট করছে জেসিআই। আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশ এমন ১০টি স্টার্টআপ পাবে, যেগুলো কয়েক মিলিয়ন ডলারের স্টার্টআপ হবে। মিলিয়ন ডলারের স্টার্টআপ হতে বিকাশের লেগেছে ১২ বছর, নগদের ৩ বছর। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে মেধাবী সাহসী উদ্যোক্তাদের এগিয়ে এসে সমস্যার সমাধান করতে হবে। তবেই দেশ থেকে নেতৃত্বদানকারী স্টার্টআপ উঠে আসবে। অনুষ্ঠানে ইভেন্টের পরিচালক ও জেসিআই বাংলাদেশের ডেপুটি ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট ইমরান কাদির বলেন, দেশে ২২ লাখ তরুণ চাকরির বাজারে প্রবেশ করার জন্য তৈরি হচ্ছে। তরুণদের সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম হিসাবে জেসিআই তাদের নিয়েই কাজ করছে। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের যে লক্ষ্য নিয়ে সরকার এগিয়ে যাচ্ছে, জেসিআই তার সহযোগী হতে চায়।

এটুআই প্রকল্পের পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী জানান, যেখানে ২০০৮ সালে সরকারের ডিজিটাল সেবা ছিল প্রায় শূন্য, ২০২৩ সালে এসে ২ হাজারের বেশি সেবা দেওয়া হচ্ছে ডিজিটাল মাধ্যমে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন, এসপায়ার টু ইনোভেট-এটুআই এর প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি ব্যারিস্টার সামির সাত্তার, ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার, জেসিআই বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি জেনারেল নিয়াজ মোর্শেদ এলিট, জেসিআই বাংলাদেশের ২০২৩-এর ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হক ভূঁইয়া, বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহিদুল্লাহ আজীম, এসিআই লজিস্টিকস লিমিটেডের (স্বপ্ন) বিজনেস ডিরেক্টর সোহেল তানভীর খান। এক্সপো আয়োজনের মাধ্যমে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক নামি ব্র্যান্ডগুলো তাদের ভবিষ্যৎ স্মার্টসল্যুশন প্রদর্শন করার সুযোগ পাচ্ছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

Leave a Comment

* বাংলানিউজটোয়েন্টিফোরসেভেন.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।