ক্ষুধামুক্ত পৃথিবী প্রচারে গান লিখলেন মোদি

বছর চারেক আগে ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ডে দেখা গিয়েছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। এবার পাওয়া গেল আস্ত একখানা গান লেখার কাজে। গ্র্যামিজয়ী ভারতীয়-আমেরিকান গায়ক ফালুর সঙ্গে হাত মিলিয়ে বাজরা শস্য (ঘাসজাতীয় একটি দানাদার শস্য। এর রুটি আটার রুটির চেয়ে সুস্বাদু।) নিয়ে ‘ক্ষুধামুক্ত পৃথিবী’ প্রচারে গান বাঁধলেন মোদি। ইংরেজি নাম মিলেট। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভারতের প্রস্তাবের পর ২০২৩ সালকে ‘ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার অফ মিলেটস’ (আইওয়াইএম) হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমস।

মুম্বাইতে জন্ম নেওয়া গায়িকা-গীতিকার ফাল্গুনি শাহ ফালু নামেই বেশি পরিচিত। তিনি এবং তার স্বামী গৌরব শাহ শুক্রবার ‘অ্যাবন্ডেন্স অফ মিলেটস’ গানটি প্রকাশ করেন। ফালু জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদি আমার এবং আমার স্বামী গৌরব শাহর সঙ্গে বসে গানটি লিখেছেন।’ তিনি আরও জানান, তাদের বিশ্বাস ইংরেজি এবং হিন্দিতে লেখা গানটি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। ফালু তার অ্যালবাম ‘এ কালারফুল ওয়ার্ল্ড’র জন্য ২০২২ সালে সেরা শিশুদের অ্যালবামের জন্য গ্র্যামি পুরস্কার পান। এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, বাজরা নিয়ে গান লেখার কথা তার তখন মাথায় আসে যখন তিনি গ্র্যামি জেতার পর দেখা করেন নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে নয়াদিল্লিতে।

সমাজ পরিবর্তন ও মানবতার উন্নতির জন্য সংগীতের অবদান নিয়ে কথা প্রসঙ্গে মোদি তাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন ক্ষুধা দূর করতে বাজরার ভূমিকা নিয়ে গানটি লেখার। প্রধানমন্ত্রী তখন জানিয়েছিলেল, ভারত বাজরাকে প্রচার করতে চায়, কারণ এটি একটি সুপার শস্য এবং এর প্রচুর স্বাস্থ্য ও পুষ্টিগুণ রয়েছে। আর তখনই মোদির কাছে গান লেখার প্রস্তাব রাখেন ফালু। ১৬ জুন বিশ্বজুড়েই গানটি প্রকাশিত হয়েছে বলে জানান গ্র্যামিজয়ী গায়িকা।

মোদি প্রসঙ্গে ফাল্গুনী শাহ আরও জানান, ‘তার জন্য লেখা এক জিনিস এবং তার সঙ্গে লেখা আরেক জিনিস। গানের মাঝখানে, আপনি তার নিজের কণ্ঠে যে বক্তৃতা লিখেছেন এবং বর্ণনা করেছেন তা শুনতে পাবেন। যে কোনো শিল্পীর জন্য এটা একটা আজীবন মনে রাখার মতো সুযোগ।’

অনেক ইতিহাসবিদই দাবি করে থাকেন, সিন্ধু উপত্যকায় সভ্যতার সময় থেকে বাজরার ফলন চলে আসছে। বর্তমানে ১৩০টিরও বেশি দেশে জন্মানো এ শস্য এশিয়া এবং আফ্রিকাজুড়ে ৫ লাখেরও বেশি মানুষের খাদ্য হিসাবে বিবেচিত হয়। ফালু জানিয়েছেন, এই গানের লক্ষ্যই হলো বাজরাকে প্রচার করা এবং কৃষকদের আরও বেশি করে ফলন করতে উৎসাহ জোগানো। যাতে বিশ্বের বিভিন্ন অংশে ক্ষুধা দূর করা যায়।

সম্পর্কিত পোস্ট

Leave a Comment

* বাংলানিউজটোয়েন্টিফোরসেভেন.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।