কানাডায় বঙ্গবন্ধুর ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন

কানাডার অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছে।

শুক্রবার (২৬ মে) বিকেল ৫টায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।

কানাডার বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আগত প্রবাসী নেতারা আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। এ সময় আমন্ত্রিত অতিথিরা বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি পুরস্কারের ওপর আলোকপাত করেন এবং বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে এর তাৎপর্য তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দেশ গড়ার জন্য আহ্বান জানান।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান বলেন, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদানের প্রথম আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হলো ‘জুলিও কুরি শান্তি পদক’ যা আমাদের জন্য অত্যন্ত সম্মানের। এই পদক অর্জন বিশ্ব দরবারে বাঙালি জাতিকে গৌরবান্বিত করেছে। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর এই পুরস্কার প্রাপ্তির সুবর্ণ জয়ন্তী পালন বর্তমান প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর শান্তি দর্শন সম্পর্কে জানতে সহায়তা করবে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সঠিক দিক নির্দেশনায় মহান স্বাধীনতা অর্জন ও পরবর্তীতে দেশ পরিচালনায় তার অসাধারণ দূরদর্শিতা বাংলাদেশের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। নিপীড়িত, নিষ্পেষিত, শোষিত, বঞ্চিত বাংলার মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু সব সময় শোষিতদের পক্ষে ছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফ্যাসিবাদী ও সাম্রাজ্যবাদ পরিহার করে সবার সঙ্গে বন্ধুত্বের ভিত্তিতে দেশ পরিচালনা করে বিশ্বের সুনাম অর্জন করেন। ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’ এই নীতিকে তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির ভিত্তি হিসেবে নির্ধারণ করেন।

ড. খলিলুর রহমান বলেন, তদানীন্তন পাকিস্তানি গোষ্ঠীর শোষণের বিরুদ্ধে মুক্তি সংগ্রামে বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও আজীবন নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর স্বীকৃতি স্বরূপ বিশ্ব শান্তি পরিষদ বঙ্গবন্ধুকে জুলিও কুরি পদকে ভূষিত করে। এরই ধারাবাহিকতায় তার সুযোগ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশসহ সকল দেশের নিপীড়িত মানুষের কণ্ঠস্বর হিসেবে কাজ করছে। তার নেতৃত্বে ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়।

এছাড়া, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতিসংঘে বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় Culture of Peace প্রস্তাবনা গৃহীত হয়।

সম্পর্কিত পোস্ট

Leave a Comment

* বাংলানিউজটোয়েন্টিফোরসেভেন.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।