ঈদের রাতের সাজ

ঈদের দিন সবাই সেজেগুজে পরিপাটি হয়ে বিভিন্ন জায়গায় কিংবা বন্ধু, আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে ঘুরতে যায়। স্বাভাবিকভাবেই সবাই সারাদিনের কাজ শেষে বিকেল-রাতে বাহারি রঙের সাজ-পোশাকে বর্ণিল হয়ে ওঠে। ঈদের সাজ-পোশাক কেমন হবে, তা সবচেয়ে বেশি নির্ভর করে আপনি যেখানে আছেন সেখানকার পরিবেশের ওপর। সেখানের আবহাওয়া-সংস্কৃতি কেমন তার ওপর। এ ছাড়াও গরমের সময়ের সাজটা অন্য সময়ের থেকে একটু আলাদা করতে হয়। কারণ গরমে মেকআপ করলে তা গলে যাওয়ার একটা সম্ভবনা থাকে। ঈদে সারাদিনের বিভিন্ন ব্যস্ততার পর তাই মেকআপ করার আগে মুখে বরফ ঘষে নিন।

রাতের সাজ:
রাতের বেলা হালকা গরম থাকলেও রোদের ঝামেলা নেই। তাই ঈদ উৎসবে রাতের সাজটা সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় কিংবা জমকালো করা যেতে পারে। ভারী কোনো পোশাক পরা যেতে পারে। যেমন: লেহেঙ্গা, গর্জিয়াস শাড়ি কিংবা অন্য যেকোনো ভারী কাজের পোশাক। রাতের মেকআপটা একদম আয়েশ করে করা যেতে পারে। স্কিন টোনের সঙ্গে মিলিয়ে মেকআপের সব কটি উপাদান ব্যবহার করা যেতে পারে, যার যার প্রয়োজনমতো। উজ্জ্বল ব্লাসন, গাঢ় কিংবা হালকা রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করা যাবে। সাজ-পোশাকের সঙ্গে মানানসই হেয়ারস্টাইল করলে আরও দারুণ লাগবে।

সাজ-পোশাক ব্যপারটি মেয়েদের জন্য যতটা বিস্তৃত পরিসরে আছে, ছেলেদের জন্য ততটা নেই। ঈদের দিন আরামদায়ক পাঞ্জাবি পরিধান করা যেতে পারে সকালে বা বিকেলে। সঙ্গে আতর, পারফিউম ব্যবহার করা যেতে পারে। রাতে শার্ট, টি-শার্ট, প্যান্ট পরা যেতে পারে। তবে যেটাই পরা হোক না কেন খেয়াল রাখবেন যেনো আরামদায়ক হয়।

সম্পর্কিত পোস্ট

Leave a Comment