ফেসবুকে ক্ষমা চেয়ে যুবকের আত্মহত্যা

ভুল আর বেয়াদবির জন্য ক্ষমা চেয়ে নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর মো. জহিরুল ইসলামের (২৫) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১ মে) ভোরে বরগুনার বামনার সফিপুর গ্রামে বাড়ির পাশের একটি আমগাছে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় জহিরুলের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায় প্রতিবেশীরা। পুলিশকে খবর দিলে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফন করা হয়েছে।

এর আগে, রোববার (৩০ মে) রাত ১০টায় সিকদার মোহাম্মদ জহিরুল তার ব্যক্তিগত আইডি থেকে ‘সালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আল্লাহর ওয়াস্তে ভুল বেয়াদবি মাফ করবেন (দোয়ার দরখাস্ত) রইল’ লিখে পোস্ট করেন।

মারা যাওয়া জহিরুল ইসলাম বরগুনার বামনার সফিপুর গ্রামের তৈয়ব আলী সিকদারের ছেলে।

জহিরুলের পরিবার জানায়, নিজের ভুলে অনুতপ্ত হয়ে ক্ষোভে আত্মহত্যা করেছে জহিরুল, যার প্রমাণ তিনি ফেসবুকে দিয়ে গেছেন।

জহিরুলের চাচা হুমায়ুন কবির সিকদার বলেন, একমাত্র ভাই জহিরুলকে তার দুই বোন খুব ভালোবাসতো। ভাই যখন টাকাপয়সা চাইতো তারা দিত। সম্প্রতি বাসে ঢাকায় যাওয়ার পথে ‘সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে’ এমন মিথ্যা সংবাদ বোনদের দেয় জহিরুল। এরপর সে বোনদের কাছে চিকিৎসার জন্য টাকা চায়। বোনেরা তাকে টাকাও পাঠায়। পরে জানতে পারে জহিরুলের কিছুই হয়নি। সে মিথ্যা বলে টাকা নিয়েছে। তখন তারা ভাই কেন মিথ্যা বলেছে সে কথা জানতে চায়। এ ঘটনায় অনুতপ্ত হয়ে জহিরুল আত্মহত্যা করেছে।

বামনা থানার ওসি মো. মাইনুল ইসলাম বলেন, মরদেহটি উদ্ধারের পর পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় বামনা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

Leave a Comment

* বাংলানিউজটোয়েন্টিফোরসেভেন.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।