বেসরকারি ফারমার্স ব্যাংকের ৬০ শতাংশ শেয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত কয়েকটি ব্যাংকের নামে লিখে দিতে হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেছেন, ওই পরিমাণ শেয়ার লিখে দিলেই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে টাকা দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আয়োজিত প্রাক বাজেট আলোচনার পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, আলোচনায় থিংকট্যাংকগুলোর কাছ থেকে পরামর্শ এসেছিল যে, লেট দেম ডাই। ফারমার্স ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাঁচিয়ে রাখার দরকার নেই। কিন্তু ফারমার্স ব্যাংককে কলাপস হতে দেব না। যেকোনোভাবেই একে রক্ষা করতে হবে।
ফারমার্স ব্যাংকের এই ৬০ শতাংশ শেয়ার কিনবে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। আইসিবির পরিচালনা পর্ষদে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক রয়েছে।
প্রাক বাজেট আলোচনায় অংশ নেয় পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই), ইকোনমিক রিসার্চ গ্রুপ (ইআরজি), বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস), বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি এবং বাংলাদেশ জুট গুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা।
তবে ফারমার্স ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংকটির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদে যাঁরা আছেন, তাঁরা সরকারের কাছ থেকে টাকা চান ঠিকই, কিন্তু বিনিময়ে শেয়ারের মালিকানা দিতে চান না।
গত জানুয়ারিতে জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছিলেন, তারল্য-সংকটের কারণে ফারমার্স ব্যাংক গ্রাহকদের আমানত ফেরত দিতে পারছে না। পরে গত মাসে তিনি জানান, ফারমার্স ব্যাংকের ঘাটতি ৭৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
ওই সময় অর্থমন্ত্রী আরও বলেছিলেন, কার্যক্রম শুরু করার পর থেকে রেগুলেটরি ও প্রুডেনশিয়াল নিয়মকানুন মানতে অনীহা এবং পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে বিভিন্ন অনিয়মের কারণে ফারমার্স ব্যাংকের আর্থিক ভিত্তি ক্রমে দুর্বল হতে থাকে। ব্যাংকটির আর্থিক অবস্থা বিভিন্নভাবে প্রকাশিত হয়ে পড়লে আমানতকারীরা ব্যাংক থেকে আমানত উঠিয়ে নিতে থাকলে তারল্য-সংকটের সৃষ্টি হয়।