প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার করা ৩৬৭ রানের জবাব দিতে নেমে ভালো শুরুর আভাস দিয়েছিলেন ব্যাটার মাহমুদুল হাসান জয় এবং সাদমান। তবে তাদের দুজনের জুটি বড় হতে দেননি সাইমন হার্মার। নিজের প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে শুরুটা দুর্দান্ত করলেন। ডানহাতি এই স্পিনারের গুড লেংথ বলে বোল্ড হয়েছেন ৯ রান করা সাদমান। বাঁহাতি এই ব্যাটারের বিদায়ের পরই চা বিরতিতে যায় দুদল।
চা বিরতি থেকে ফিরে নাজমুল হোসেন শান্তকে সঙ্গে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন জয়। এদিন শুরু থেকেই খানিকটা আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করতে থাকেন শান্ত। যদিও সময় যত গড়িয়েছে ততই ধীরগতিতে খেলতে শুরু করেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। হার্মারের বলে ছক্কা মেরে পঞ্চাশ রানের জুটি পূর্ণ করেন শান্ত। তবে এরপরই সাজঘরে ফেরেন তিনি।
শান্তর বিদায়ের পর অধিনায়ক মোমিনুল হক এবং অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমের দ্রুত বিদায়ে চাপে পড়ে গেল সফরকারীরা। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় দিনশেষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেটে ৯৮ তুলেছে বাংলাদেশ। যার ফলে এখনও পিছিয়ে আছে ২৬৯ রানে।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে একাই ৪টি উইকেট নিয়েছেন সাত বছর পর দলে ফেরা ডানহাতি স্পিনার সিমন হার্মার। ব্যাট হাতেও বেশ ভুগিয়েছেন এই স্পিনার। অপরাজেয় থেকে যান ৩৮ রান করে।
এর আগে প্রথম দিনের ৪ উইকেটে ২৩৩ রানের সঙ্গে এদিন আরও ১৩৪ রান যোগ করতে পারে স্বাগতিক দল। এরমধ্যে সকালের সেশনে মাত্র ৫৫ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট তুলে নেয় টাইগাররা। সকালে টানা দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে দুর্দান্ত শুরু করেন খালেদ আহমেদ।
ফেরান কাইল ভেরেইন ও উইয়ান মুল্ডারকে। এরপর ১৯ রান করা কেশব মহারাজকে ফেরান এবাদত। একপ্রান্তে উইকেট গেলেও প্রথম দিন শেষে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকা বাভুমা শতকের দিকে এগোতে থাকেন। তবে ব্যক্তিগত ৯৩ রানের মাথায় মিরাজের দুর্দান্ত ডেলিভারিটি আটকাতে পারেননি বাভুমা। মাত্র ৭ রানের জন্য ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির সুযোগ হাতছাড়া করে ৯৩ রানে সাজঘরে ফেরেন ডানহাতি এই ব্যাটার। যদিও আরও আগেই ফিরতে পারতেন বাভুমা। এবাদতের বলে ব্যক্তিগত ৭৭ রানে থাকা বাভুমার ক্যাচ ছাড়েন ইয়াসির আলী রাব্বি। পরের ওভারে বাভুমাকে দারুণভাবে সঙ্গ দেয়া মহারাজকে ফেরান এবাদত।
২৯৮ রানে ৮ উইকেট হারানো প্রোটিয়া ইনিংস তাড়াতাড়িই শেষ হবে বলে মনে হচ্ছিল। তবে সিমন হার্মারের অপরাজিত ৩৮ রানের সুবাদে শেষ ২ উইকেট জুটিতে ৬৯ রান তোলে প্রোটিয়ারা। ফলে ৩৬৭ রানের ভালো স্কোর পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
টাইগারদের হয়ে খালেদ চারটি, মিরাজ তিনটি এবং এবাদত দুটি উইকেট নিয়েছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ১২১ ওভারে ৩৬৭ (আগের দিন ২৩৩/৪) (বাভুমা ৯৩, ভেরেইনা ২৮, মুল্ডার ০, মহারাজ ১০, হার্মার ৩৮*, উইলিয়ামস ১২, অলিভিয়ের ১২; তাসকিন ২৩-৪-৬৯-০, ইবাদত ২৯-১০-৮৬-২, খালেদ ২৫-৩-৯২-৪, মিরাজ ৪০-৮-৯৪-৩, মুমিনুল ৪-০-১৭-০)
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৪৯ ওভারে ৯৮/৪ (জয় ৪৪*, সাদমান ৯, শান্ত ৩৮, মুমিনুল ০, মুশফিক ৭, তাসকিন ০*; অলিভিয়ের ৪-১-৯-০, উইলিয়ামস ৫-০-১৫-০, হার্মার ২০-৭-৪২-৪, মহারাজ ১৯-১০-২৪-০, এলগার ১-০-৮-০)