রপ্তানি আয়ে বড় ধাক্কা

মার্চ মাসের মতো এপ্রিলেও ইউরোপ, আমেরিকার মন্দার ধকলে পড়েছে দেশের তৈরি পোশাক শিল্প। এর প্রভাব পড়েছে রপ্তানি আয়ে। যা লক্ষ্যমাত্রা থেকে পিছিয়েছে প্রায় ২২ শতাংশ।

এ মাসে লক্ষ্যমাত্রা ৫০৫ কোটি ডলারের বিপরীতে আয় হয়েছে প্রায় ৩৯৭ কোটি ডলার। একইসঙ্গে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রপ্তানি আয় কমেছে ১৬ শতাংশের বেশি। গত বছরের একই সময়ে রপ্তানি হয়েছিল ৪৭৪ কোটি ডলারের পণ্য।

বুধবার (৩ মে) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুারোর (ইপিবি) রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে ।

ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) ৪ হাজার ৭২১ কোটি ডলার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর বিপরীতে ৪ হাজার ৫৬৮ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। লক্ষ্য থেকে পিছিয়ে রয়েছে ৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ। তবে গত অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসের তুলনায় এবার পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ। গত বছরের এই সময়ে রপ্তানি হয়েছিল ৪ হাজার ৩৩৪ কোটি ডলারের পণ্য।

মোট রপ্তানি আয়ে ধাক্কা লাগলেও অন্যান্য মাসের মতো গত এপ্রিল পর্যন্ত তৈরি পোশক শিল্পই রক্ষা করেছে ইতিবাচক ধারা। আরএমজি খাতে জুলাই–এপ্রিলে ৩ হাজার ৪১৮ কোটি ডলারের বিপরীতে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে তিন হাজার ৮৫৮ কোটি ডলার। বেশি অর্জন হয়েছে এক শতাংশের বেশি। এই রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ শতাংশ বেশি। এ সময় রপ্তানি আয় হয়েছিল ৩ হাজার ৫৩৬ শতাংশ।

চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে পোশাকশিল্পের পথে প্লাস্টিক পণ্য ও চামড়াবিহীন জুতা রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। তবে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল ও প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি কমেছে।

রপ্তানিকারকরা বলছেন, রপ্তানি আয় কমলেও তৈরি পোশাকশিল্পে এগিয়ে যাচ্ছে। কারণ গত এপ্রিল মাসে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার। যা আগের বছরের তুলনায় সাড়ে ১৫ শতাংশের কাছাকাছি।

সম্পর্কিত পোস্ট

Leave a Comment

* বাংলানিউজটোয়েন্টিফোরসেভেন.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।