রংপুরে দুই হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক

রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয় ৯ হাজার ৫শ’ ৪২টি। এর মধ্যে প্রায় দুই হাজারটিতেই নেই প্রধান শিক্ষক। সহকারী শিক্ষকই দায়িত্ব পালন করছেন প্রধান শিক্ষকের। এতে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষাসহ প্রশাসনিক কাজ। 

রংপর জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১ হাজার ৪শ’ ৫৫টি। এর মধ্যে ৫শ’ ৪৮টি বিদ্যালয়ে ১৩ বছর ধরে নেই প্রধান শিক্ষক।

রংপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম শাহাজাহান সিদ্দিক বলেন, “২০০৯ সালের পর থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষককে বদলি বন্ধ আছে।”

শুধু রংপুরেই নয় কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও এবং পঞ্চগড়েরই প্রায় একই অবস্থা।

কুড়িগ্রামে ১,২৪০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৬৬টিতে প্রধান শিক্ষক নেই। এছাড়া লালমনিরহাটে ৭৬২টির মধ্যে ২৭৪টিতে, নীলফামারীতে ১০৮৪টির মধ্যে ২৪৯টিতে, ঠাকুরগাঁওয়ে ১০০৪টির মধ্যে ২৩৬টিতে, গাইবান্ধায় ১৪৬৫টির মধ্যে ১২০টিতে, পঞ্চগড়ে ৬৬৩টির মধ্যে ৯১টিতে এবং দিনাজপুরে ১৮৬৯টির মধ্যে ৬৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য।

কোন কোন বিদ্যালয়ে পাঁচ বছরেরও বেশি সময় প্রধান শিক্ষক নেই। শূন্য রয়েছে সহকারী শিক্ষকের পদও।

কর্তৃপক্ষ বলছে, নিয়োগ প্রক্রিয়া শিগগিরই শুরু করা হবে।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, “এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদোন্নতি কার্যক্রম চলমান রয়েছে।”

শূন্য থাকা পদগুলো দ্রুতই পূরণ হবে এমনটাই প্রত্যাশা শিক্ষক-অভিভাবকদের।

তারা জানান, একজন প্রধান শিক্ষক থাকলে বিদ্যালয়টি সুন্দর ও সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হবে। তাই একজন প্রধান শিক্ষক অতীব প্রয়োজন।

প্রধান শিক্ষকের পদগুলো ৬৫ ভাগ পদোন্নতি এবং ৩৫ ভাগ সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে পূরণের বিধান রয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

Leave a Comment

* বাংলানিউজটোয়েন্টিফোরসেভেন.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।