মেসি-নেইমার-এমবাপ্পের জ্বলে ওঠা ম্যাচে সহজ জয় পিএসজির

মৌসুমের শুরু থেকেই আগুন ঝরাচ্ছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। কিন্তু প্যারিস সেন্ট জার্মেইর (পিএসজি) আক্রমণভাগের অন্য দুই সারথি লিওলে মেসি ও নেইমার জুনিয়র নিজেদের হারিয়ে খুঁজছেন। ফলে এই ত্রয়ীকে নিয়ে যে আশা জেগেছিল তা হতাশায় রূপ নিয়েছে। তিনজনকে একসঙ্গে জ্বলে উঠতে কদাচিৎ দেখা যায়। রোববার রাতে দেখা গেল সেই অভাবনীয় দৃশ্য।

ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের ম্যাচে তিনজনই পেয়েছেন গোলের দেখা। নেইমার ও এমবাপ্পে করেছেন জোড়া গোল। এক গোল মেসির। এই ত্রয়ীর আলোঝলমল রাতে লরিঁয়েকে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে পিএসজি। মেসি-নেইমার গোল পেলেও দুর্দান্ত জয়ের নায়ক শুধুই এমবাপ্পে। দলের পাঁচটি গোলের সঙ্গেই জড়িয়ে থাকল তার নাম। দুই গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে তিনটি করিয়েছেন ফরাসি সেনসেশন।

ছয় গোলের ম্যাচে উৎসবের শুরু এবং শেষ দুটোই করেছেন নেইমার। ঘরের মাঠ পার্ক ডু প্রিন্সেসে ১২ মিনিটে তার গোলেই লিড নেয় পিএসজি। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে লরিঁয়ের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার। তার দুই গোলের মাঝে ৭৩ মিনিটে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন মেসি। আর এমবাপ্পের গোল দুটি এসেছে ম্যাচের দুই অর্ধে।

লিগের চলতি মৌসুমে এনিয়ে ১৭টি গোল হলো এমবাপ্পের। সংখ্যাটা বাড়তে পারতো। হ্যাটট্রিকেরও সুযোগ পেয়েছিলেন ফরাসি স্ট্রাইকার। কিন্তু ম্যাচের শেষ দিকে তার শট ফিরে আসে অতিথিদের পোস্টে লেগে। গোলটা হলেই ফ্রেঞ্চ লিগে হয়ে যেতো নতুন ইতিহাস। এক ম্যাচে কোনো দলের ছয় গোলের সবকটির সঙ্গে জড়িয়ে থাকার রেকর্ড গড়তেন এমবাপ্পে।

সম্প্রতি চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হারের পর সমর্থকদের দুয়ো শুনতে হয়েছিল নেইমারকে। চলতি মৌসুমে পিএসজির হয়ে ২২ ম্যাচ খেলে ৭ গোল করা নেইমার অবশ্য সমালোচনার জবাব দিতে দেরি করেন না।  নেইমার এবার জোড়া গোল করে দলকে জিতিয়েছেন। ফলে জবাব দেওয়ার সময়ও হয়েছে। তাই ইনস্টাগ্রামে নিজের গোলের ভিডিও পোস্ট করে সেই সাংবাদিকের উদ্দেশ্যে ক্যাপশনে ব্রাজিল সুপারস্টার লিখেছেন, ‘আমি মাতাল ছিলাম, এ কারণেই এটা হয়েছে…ওরা তো এখানে এমনটাই বলে। ‘

লিগে ৩০ ম্যাচে ২১ জয় ও পাঁচ ড্রয়ে পিএসজির পয়েন্ট ৬৮ এবং সমান ম্যাচ খেলে ৬ জয়ে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ১৬তম স্থানে লরিয়াঁ।

সম্পর্কিত পোস্ট

Leave a Comment