প্রথমবারের মতো ৭৫০ টিইউজ কন্টেইনার নিয়ে মোংলা বন্দরে ভিড়েছে আট মিটার ড্রাফটের গিয়ারলেস জাহাজ ‘এমভি ফিলোটিমো’। পানামা পতাকাবাহী ১৭২ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজটি বন্দরের ৭নং জেটিতে ভিড়েছে। নিয়মিত পশুর চ্যানেল ও জেটি ফ্রন্টে ড্রেজিংয়ের ফলে আট মিটার গভীরতার জাহাজ ভেড়ানো সম্ভব হচ্ছে।
সোমবার দুপুরে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রেরিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের বোর্ড ও গণসংযোগ বিভাগের উপসচিব মো. মাকরুজ্জামান বলেন, রোববার বিকালে ৭৫০ টিইউজ (২০ ফিট দৈর্ঘ্যের একটি কন্টেইনারকে এক টিউজ বলে) নিয়ে আট মিটার ড্রাফটের জাহাজ বন্দর জেটিতে নোঙর করেছে।
এর আগে গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর ও ২৭ মার্চ আট মিটার ড্রাফটসের দুটি জাহাজ এসেছিল। তাতে এতবেশি কন্টেইনার ছিল না। নিয়মিত ড্রেজিংয়ের ফলে এ সফলতা এসেছে। এখন থেকে আট মিটার গভীরতার জাহাজ আসতে আর কোনো বাধা থাকবে না। ভবিষ্যতে আরও অধিক ড্রাফটের জাহাজ কিভাবে এখানে ভেড়ানো যায় সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। বন্দরের অধিকতর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বন্দরের উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান হচ্ছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী বলেন, বন্দর জেটিতে নিয়মিত আট মিটার গভীরতার কন্টেইনার জাহাজ আগমন মোংলা বন্দরের জন্য একটি নবধারার সূচনা। বর্তমান সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের দিকনির্দেশনায় ও বন্দর ব্যবহারকারীদের সহযোগিতার ফলে মোংলা বন্দর এখন বিশ্বমানের বন্দরে রূপান্তরিত হয়েছে। বন্দরের সক্ষমতা বেড়েছে কয়েকগুণ। মোংলা বন্দর তথা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে সরকার পশুর চ্যানেলের ড্রেজিং কাজ চলমান রেখেছে, ফলশ্রুতিতে মোংলা বন্দরে এখন থেকে আরও অধিক গভীরতা সম্পন্ন জাহাজ অনায়াসে আগমন-নির্গমন করতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় ঢাকায় তৈরি গার্মেন্টস পণ্য এখন মোংলা বন্দর দিয়ে রপ্তানি হচ্ছে। সেই সঙ্গে অন্যান্য সব ব্যবসায়ীদের মোংলা বন্দর ব্যবহারের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে।