ঈদে হাতের যত্ন

 মাংস কাটাকুটি, ভাগাভাগি করতে করতে পার হয়ে যায় দিন। আরও আছে রান্নাবান্না, ধোয়া-মোছার বিশাল এক পর্ব। এসবের কারণে হাত হয়ে যায় রুক্ষ আর খসখসে। দীর্ঘ সময় মাংস নিয়ে কাজ করা হয়। ফলে হাত ভেজা ও রক্ত-চর্বি লেগে থাকে বিধায় চামড়া কুঁচকে যায় অনেকের।

দিন শেষে কেন যেন এ হাতের যত্নটাই বাদ পড়ে যায় সব কিছুর মাঝে। তবে কুরবানির ঈদে অন্যান্য যত্নআত্তির মতো হাতেরও চাই সঠিক যত্ন। উৎসবের আনন্দে যেন কোনোভাবেই কমতি না পড়ে। তাই দিন শেষে একটু সময় বের করে কীভাবে হাতের যত্ন নেবেন জানিয়েছেন হারমনি স্পা ও ক্লিওপেট্রা বিউটি সেলুনের স্বত্বাধিকারী, আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা রীতা।

হাতের যত্নে এ সময়ে লেবু খুব উপকারী। লেবু দিয়ে পরিষ্কার করে নিলে সবচেয়ে ভালো। লেবু আর চিনি এ দুটি উপাদান স্ক্রাবিংয়ের কাজ করে। কিছু সময় নিয়ে এ দুটি মিশ্রণের প্যাক তৈরি করে হাতে রেখে ম্যাসাজ করে স্বাভাবিক পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিলে হাত যেমন পরিষ্কার হবে তেমনি হাত থাকবে মোলায়েম। অবশ্যই এ প্যাক ব্যবহারের পরে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। এ ছাড়া চার ভাগের এক ভাগ হলুদ, একটু টক দই, একটু বেসন আর কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে নিতে পারেন।

এ মিশ্রণে থাকা হলুদ ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে খুব ভালো কাজ করবে। অন্যদিকে হাতের ত্বকের ক্ষেত্রে কফি খুব ভালো একটি উপাদান। একটু কফি, একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল, আর অল্প গুঁড়াদুধ মিশিয়ে পেস্টের মতো করে হাতে রেখে শুকিয়ে এলে ম্যাসাজ করে নিয়ে স্বাভাবিক পানি দিয়ে ধুয়ে নিলেও খুব ভালো উপকারে আসবে। তবে যে কোনো প্যাক ব্যবহারের পরই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। আর যাদের ত্বক খুব বেশি রুক্ষ তারা পেট্রোলিয়াম জেলি ময়েশ্চারাইজের পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া কুরবানির ঈদে বারবার হাত ধুতে হয়। সাবানে থাকা ক্ষার ত্বক আরও রুক্ষ করে তোলে। তাই সাবানের পরিবর্তে নারিকেল তেল কিংবা অলিভ অয়েল হতে পারে ভালো একটি সমাধান। তেল দিয়ে হাত পরিষ্কারের পর মাইল্ড কোনো শ্যাম্পু দিয়ে হাত ধুয়ে নিলে হাত রুক্ষতা থেকে অনেকখানি সুরক্ষিত থাকবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

Leave a Comment