বাংলাদেশের ইনিংসের পর শুধু একটি কৌতূহল ছিল, ভারত কয় বল বাকি রেখে জিতবে! শেষ পর্যন্ত ৮ বল হাতে রেখে জিতল ভারত। সেটাও ৪ উইকেট হারিয়ে। বেশ সম্মানজনক ব্যবধান বটে! আজকের ম্যাচে বাংলাদেশের ‘প্রাপ্তি’ এটুকুই। যে পরিকল্পনাহীন ক্রিকেট বাংলাদেশ খেলেছে, তাতে এ ব্যবধানও বেশ ভালো মনে হচ্ছে। এখন বাংলাদেশ যেন সম্মানজনক পরাজয়েও খুশি!
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের এমন পারফরম্যান্স অবশ্য নতুন কিছু নয়। গত ১৪ টি-টোয়েন্টিতে এটা ১৩তম হার বাংলাদেশের। সাকিব আল হাসান না থাকলে অর্ধশক্তির ভারতও কঠিন প্রতিপক্ষ। পড়া না-পারা ছাত্রের জন্য জলবৎ তরলং প্রশ্নপত্রও কঠিন ঠেকতে পারে। বাংলাদেশের সমর্থকদের আফসোসটা এখানেই, এই ছাত্রেরা অতটা ফেলটুশ তো নয়; যেমনটা দেখাচ্ছে। বোলাররা বাংলাদেশের যে ৭ উইকেট নিয়েছে, প্রতিটাতেই ব্যাটসম্যানরা বল ভাসিয়ে দিয়েছে হাওয়ায়। চোখে বেঁধে এমন সব শট।
ব্যাটসম্যানদের বাজে পারফরম্যান্সের পর ম্যাচ জিততে হলে বোলারদের দারুণ কিছু করতে হতো। ২৮ রানে রোহিত শর্মাকে ফিরিয়ে দিয়ে মোস্তাফিজুর রহমান কিছুটা আশা জাগিয়েছিলেন। ভারতের স্কোরটা ৪০ রানে থাকতে ঋষভ পন্তকেও ফিরিয়ে দিয়েছিলেন রুবেল হোসেন। কিন্তু মাত্র ১৩৯ রানের পুঁজি নিয়ে লড়াই করা খুব কঠিন। বিশেষ করে শিখর ধাওয়ান যে ফর্মে আছেন।
আগের ম্যাচের ঝোড়ো ৯০ রানের পর আজও ফিফটি পেয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর ৪৩ বলে ৫৫ রানের ইনিংসটাই ভারতকে কোনো চাপে পড়তে দেয়নি। সুরেশ রায়নার প্রায় ওয়ানডে স্টাইলে করা ২৮ রানও তাই ভারতের জন্য অস্বস্তির কোনো কারণ হয়নি।
তিন পেসারই ৪ উইকেট ভাগাভাগি করে নিয়েছেন নিজেদের মাঝে। তবে ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ কিছু চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। এই স্পিনারের এমন বোলিংয়ের পরও অবশ্য নাজমুল ইসলামের হাতে বল উঠতে ১৪তম ওভার লেগে গিয়েছে। তাঁকে এত দেরিতে আনাটা যে অন্যায়, তা নিজের তৃতীয় বলেই ধাওয়ানকে স্টাম্পিংয়ের সুযোগ সৃষ্টি করে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু কিন্তু মুশফিক বল ধরতে পারলে তো!
অবশ্য ততক্ষণে ফিফটি ছুঁয়ে ফেলা ধাওয়ান আউট হলেও ম্যাচের ভাগ্য তখন আর কোনো হেরফের হতো না। নিদাহাস ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে ১৭৪ রান করেও ভারত জিততে পারেনি, আর এ তো ১৪০ রানের লক্ষ্য!
বাংলাদেশের ইনিংসের বিস্তারিত পড়ুন এখানে: