গেল ঈদে মুক্তি পায় জয় চৌধুরী ও অপু বিশ্বাস অভিনীত সিনেমা ‘প্রেম প্রীতির বন্ধন’। মুক্তির পর বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে সিনেমাটি। পর্দায় সিনেমার একটি কিসিং দৃশ্যে দর্শকদের নজর কেড়েছেন জয়-অপু। সম্প্রতি চিত্রনায়িকার সঙ্গে সেই ‘কিসিং সিনের’ অভিজ্ঞতা জানালেন জয়।
প্রেক্ষাগৃহে ‘প্রেম প্রীতির বন্ধন’ সিনেমাটি দেখার পর আরটিভির সঙ্গে এর নানান বিষয়ে কথা বলেন এই অভিনেতা।
জয় চৌধুরী বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি, দুজনের কেমিস্ট্রিটা দর্শকদের সামনে তুলে ধরার জন্য। সর্বশেষ যে সিনেমাটি রিলিজ হয়েছিল সেই সিনেমায় আমি ছিলাম। কিন্তু আমার কাউন্টারে ছিল শিরিন শিলা। আর শাকিব ভাইয়ের সঙ্গে ছিলেন অপু বিশ্বাস। সাত বছর পরে এসে দুজনেরই সিনেমা রিলিজ হয়েছে একজন আরেকজনের কাপল হয়ে। আমরা দুজনেই চেষ্টা করেছি দুজনের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে আমাদের ভালোটা দেওয়ার। আর আমাদের দর্শকরাও সুন্দর ভাবে আমাদেরকে পজিটিভলি নিয়েছে।
কিসিং দৃশ্যের প্রসঙ্গে বলেন, কিসিং সিন কীভাবে করে আপনারাই বলেন? আর আপনারা কীভাবে করেন? ক্যামেরাম্যান জানে কীভাবে আমরা সিনটা করেছি। দুজনের আন্তরিকতা ভালোছিল তাই সেটা ভালোভাবে আমরা করতে পেরেছি। দর্শক সেটা পছন্দও করেছে।
অভিনেতা বলেন, আমরা আর্টিস্টরা প্রত্যেকেই কাজ করি প্রশংসা পাওয়ার জন্যই। আমরা অনেক কষ্ট করে কাজ করি। সেটা করার পর যদি প্রশংসনীয় হয়। সেই কাজটার জন্য আমাদের অনেক শান্তি হয়। সে ক্ষেত্রে আমরা সিনেমাটি যে করেছিলাম এটি করতে আমাদের অনেক সময় লেগেছিল।
তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন যে টোটাল ৭২ দিন এই সিনেমার শুটিং হয়েছে। একটানা ৪২ দিন শুটিং করেছি আমরা এফডিসিতে। সো ভালো বাজেটের একটা সিনেমা, কিন্তু আমাদের ডিরেক্টর স্যার নতুন, সেই সঙ্গে অনেক সিনিয়র আর্টিস্টও কাজ করেছেন। সে ক্ষেত্রে আমি মনে করি যে, আমরা প্রত্যেকেই যার যার অভিনয়ের জায়গা থেকে সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
আমিও আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আজকে সিনিয়ররা যারা সিনেমাটি দেখেছেন। তারা প্রত্যেকেই প্রশংসা করেছেন এবং আমাকে আরও অনুপ্রেরণা দিয়েছেন।
জয় আরও বলেন, ঈদে ‘লিডার, আমিই বাংলাদেশ’র পর সব থেকে বেশি আমাদের এই সিনেমাটি হল পেয়েছে এবং লাস্ট উইক পর্যন্ত হল সংখ্যায় শীর্ষে আমাদের সিনেমাটিই ছিল। আমি মনে করি, একটা সিনেমা তৈরি করা হয় দর্শকদের জন্য। আমরা শত কষ্টের পরে যদি হল পর্যন্ত দর্শকদের কাছে পৌঁছে দিতে পারি এটাই আমাদের কাছে আসল সার্থকতা। আর থেকে বড় কিছু আর পাওয়ার নেই।